মে ৩১, ২০২৩ ৫:০৮ অপরাহ্ণ || ডেইলিলাইভনিউজ২৪.কম

বাবার বই পড়ে একা-একা প্রোগ্রামিং শেখেন ফাহিম

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণ প্রযুক্তিবিদ ফাহিম সালেহ মারা যাওয়ার এক মাস পর তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন বোন রুবি সালেহ। বৃহস্পতিবার ব্লগ পোস্টে রুবি জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকে আইটির প্রতি নেশা জন্মানো ফাহিম তার বাবার প্রোগ্রামিংয়ের বই পড়ে একা-একাই প্রযুক্তির এই ভাষা শিখে যান। এসব স্মৃতির পাশাপাশি তিনি ফাহিমের পুরো জীবন তুলে ধরেছেন নিজের লেখায়।

নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের লোয়ার ইস্ট সাইডে নিজের বিলাসবহুল বাসায় গত ১৪ জুলাই বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে খুন হন ফাহিম। তার খুনি সন্দেহে ইতিমধ্যে ফাহিমের ব্যক্তিগত সহকারী টেরেস ডেভোন হাসপিলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রুবি লিখেছেন, ‘ফাহিম মাত্র ১৩ বছর বয়সে তার ওয়েবসাইট মনিটায়েজড করে।’

‘ওই সময় আমার মা-বাবা লুইসিয়ানা থেকে রচেস্টার চলে আসেন। ওর সাইটের নাম ছিল মানকিডু: জোকস, প্রাঙ্কস, ফেক পপ। গুগল থেকে প্রথম মেইলে ৫০০ ডলারের চেক আসার পর বাবা খুব চিন্তায় পড়ে যান। উনি জানতে চান কীভাবে এত অর্থ পেয়েছো।’

‘বাবার সঙ্গে ফাহিমের ভালো সম্পর্ক ছিল। দুজনে খুব আলাদা স্বভাবের: বাবা খুব চিন্তা করতেন, ফাহিম কখনো চিন্তিত হতো না। শুধুমাত্র ফাহিমই ওনাকে শান্ত করতে পারতো।’

‘বাবার চিন্তার কথা বুঝতে পেরে ফাহিম ওনাকে প্রোগ্রামিং ভাষা সম্পর্কে ব্যাখ্যা করে।’

অবাক করার বিষয় হলো ফাহিমের বাবাও একজন প্রোগামার ছিলেন। বাড়িতে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ সংক্রান্ত অনেক বই ছিল। সেসব পড়ে একা একাই প্রোগ্রামিং শিখে যান ফাহিম!

‘‘বাবা প্রোগ্রামিং বুঝলেও ইন্টারনেটের কিছু জানতেন না। ফাহিম ওনাকে বলে, ‘তরুণেরা আমার সাইটে আসছে। আমার আয় হচ্ছে গুগলের অ্যাড থেকে।’ এভাবে আয়ে চিন্তার কিছু নেই ফাহিম বাবাকে সেটি বোঝাতে সক্ষম হয়।’’

ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে কাজ শুরুর পর ৩৩ বছর বয়সী ফাহিম ধীরে ধীরে নিজেকে ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত পাঠাওয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।

যেভাবে ফাহিমের মৃত্যুর খবর পান রুবি: ১৪ জুলাই রাত পৌনে ১১টার দিকে রুবির এক চাচি তাকে ফোন করেন।

ওই চাচি শুরুতে কথা বলতে পারছিলেন না। ‍শুধু বলেন, ‘একটা খারাপ খবর আছে রুবি।’

এরপর চুপ করে যান। রুবি তখন ভাবেন হয়তো আত্মীয়দের কারো করোনা হয়েছে। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করতে থাকেন, ‘কী হয়েছে? কী হয়েছে?’

-‘খুব খারাপ সংবাদ।’

-‘আমাকে বলেন।’

-‘ফাহিম আর আমাদের মাঝে নেই!’

Comments

comments

নাট্যকার মোহন খান আর নেই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!