বিজ্ঞানীদের চিন্তা বাড়িয়েছে ‘সৌরকলঙ্ক’


করোনার পর ২০২০ সালে আর কী কী দূর্বিপাক বাকি আছে তার হিসেব কষছে মানবসভ্যতা। মহাজাগতিক রোমাঞ্চ বয়ে নিয়ে আসছে আরেক নতুন সমস্যা। বিজ্ঞানীদের চিন্তা বাড়িয়েছে ‘সৌরকলঙ্ক’ (Sunspot)।
সূর্য থেকে বেরিয়ে আসা আগুনের বিরাট বিরাট শিখা ‘সোলার ফ্লেয়ারে’র পর দেখা মিলল এই সৌরকলঙ্কের। বিশালাকার চেহারা তার। ৫০ কিমি ব্যাসার্ধ তার পরিমাপ। বিজ্ঞানের ভাষায় তার নাম AR2770। যা পৃথিবীর জন্য মোটে সুখবর নয়।
সোলার ফ্লেয়ার পৃথিবীতে মানবসভ্যতা, কৃত্রিম উপগ্রহ ও মহাকাশের আবহাওয়ার পক্ষে খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। এরা হঠাৎই ছুটে এসে তছনছ করে দিতে পারে।
সৌরচক্রের উপর নির্ভর করে সৌরকলঙ্কের কমা ও বাড়া। সৌরচক্রের মধ্যেই সূর্যের গায়ে দেখা যায় সৌরকলঙ্ক। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যত সৌরকলঙ্ক বৃদ্ধি পাবে তত বেড়ে যাবে সৌরচক্রের শক্তি।
সানস্পট সূর্যের একটি অন্ধকার অঞ্চল। যা অন্যান্য অংশের তুলনায় তুলনামূলকভাবে শীতল। এই সানস্পটগুলিতে আয়ন যুক্ত গ্যাস রয়েছে যা শক্তিশালী চৌম্বকীয় শক্তির ক্ষেত্র তৈরি করে। আমাদের সূর্যের গ্যাসগুলি ক্রমাগত চলমান, যারা এই ‘চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে’র কারণে নিয়মভঙ্গ করতে বাধ্য হয়। যা কখনই একই নিয়মে কাজ করে না। এই সৌরকলঙ্ক বা চৌম্বকীয় ক্ষেত্র বৃদ্ধি পেলে সূর্য থেকে বেরিয়ে আসে সৌরবায়ু, সৌরঝড়, সৌরঝলক। যা ভয়ঙ্কর বিপ্পজনক।
সৌরকলঙ্ক বাড়লে পৃথিবীর কী কী ক্ষতি হবে:
* কৃত্রিম উপগ্রহ গুলি তছনছ হয়ে যাবে।
* টেলিযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবে।
*বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যহত হবে।
* আকাশে উড়ন্ত বিমান আক্রান্ত হবে।
*মেরুজ্যোতির বদল ঘটবে।
* পৃথিবীর তাপমাত্রার হেরফের হবে।