আহমদ উল্লাহ মধুকে যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি দেখতে চান তৃণমূলনেতা-কর্মীরা


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রতীক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর আস্থা রেখে দীর্ঘ সময় ধরে নিষ্ঠার সাথে দলের জন্য কাজ করে আসছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী যুবলীগ দক্ষিণের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী আহমদ উল্লাহ মধু।
সৎ,নম্র,ভদ্র,বিনয়ী,কর্মীবান্ধব,পরিচ্ছন্ন ও ত্যাগী এই নেতাকে ঢাকা মহানগর আওয়ামী যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি হিসেবে দেখতে চান দলের অধিকাংশ তৃণমূলনেতা-কর্মীরা।
জানা গেছে, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁর পিতা বিজিবি কোয়ার্টার মাষ্টার সানা উল্লাহ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করায় পাক হানাদার বাহিনী ২৫ মার্চ কালো রাতে তাদের গনকটুলীর বাড়ীটি জ্বালিয়ে দেয়।
আহমদ উল্লাহ মধুর পুরো পরিবার আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তিনি ১৯৮৪-১৯৯০ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে থেকে ওয়ার্ড ও থানার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনে রাজপথে ছিলেন সক্রিয়। ১৯৯১-১৯৯৫ এবং ২০০১-২০০৫ সালে বিএনপি সরকারের আমলে বার বার হামলা-মামলার শিকার হন এবং কারাবাস করেন। নাসির উদ্দিন পিন্টুর টর্চার সেলে তাঁকে বার বার মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়।
১/১১ এর সময় তিঁনি দলের জন্য জোড়ালো ভূমিকা পালন করেন। ২০০৫-২০০৮ সাল পর্যন্ত তথা ফখরুদ্দিন সরকারের আমলে যখন ঢাকা মহানগর আওয়ামী যুবলীগ দক্ষিণের নেতারা পালিয়ে যান তখন তিঁনি দলকে সুসংগঠিত করে গণতন্ত্রের মানসকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য রাজপথে লড়াকু সৈনিকের ভূমিকা পালন করেন।
গত মার্চ মাসে করোনা ভাইরাসের প্রেক্ষাপটে সরকারী ছুটি এবং অঘোষিত লকডাউনের কারণে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের গৃহবন্দি ও কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষজন যখন দিশেহারা তখন আহাম্মদ উল্লাহ মধু মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে অসহায় মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিতে শুরু করেন যা এখনো অব্যাহত রেখেছেন।
ত্যাগী নেতা আহমদ উল্লাহ মধু ডেইলিলাইভনিউজ২৪.কম’কে জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি ঢাকা মহানগর আওয়ামী যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতির দায়িত্বভার তাকে দেন তাহলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সম্মান মাথায় রেখে নিষ্ঠার সাথে দলের জন্য কাজ করে যাবেন।
-নাজনীন রহমান