রিমান্ডে মুখোমুখি আরিফ-সাবরিনা


পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ’র (ডিবি) রিমান্ডে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মুখোমুখি করা হয়েছিল জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী আরিফ চৌধুরী এবং তার স্ত্রী জেকেজির চেয়ারম্যান ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক (বরখাস্ত) ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে। করোনা রিপোর্ট জালিয়াতির ঘটনা তদন্তে গ্রেফতারকৃতদের মুখোমুখি করা হচ্ছে। বুধবার আরিফকে দেখে সাবরিনা উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
আরিফকে উদ্দেশ করে সাবরিনা বলেন, ‘তোর জন্যই আজ আমার এই অবস্থা। তুই আমাকে শেষ করে দিয়েছিস। সবকিছু করে এখন আমাকে ফাঁসিয়েছিস।’ আরিফও পাল্টা জবাবে বলেন, ‘সব দোষ কি আমার? তুমি তো এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ছিলে। তুমিও জানতে সবকিছু।’
জিজ্ঞাসাবাদে সাবরিনা দাবি করেন, জেকেজি ও ওভাল গ্রুপের অনেকেই এই অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত। আরিফ চৌধুরীর এই কর্মকাণ্ড এবং ব্যক্তিগত হয়রানির কারণে তিনি তাকে ডিভোর্সও দিয়েছেন। তবে আরিফ বলেছেন, ‘সাবরিনার কারণে তিনি এই অপকর্মে জড়িয়েছেন।’
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, ‘জেকেজি অনলাইনে বেশি অভিযোগ করতো। তারা টাকা কোথায় রেখেছে তা খোঁজা হবে। ব্যাংকগুলো খতিয়ে দেখা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সাবরিনার রিমান্ড আজ শেষ হবে। আরিফ আজ রিমান্ডে আসছে। সাবরিনাকে ফের রিমান্ডে এনে মুখোমুখি করা হবে। এই কোম্পানিতে কার কী অবদান, কার কী দায়িত্ব ছিল তা তদন্ত করে দেখা হবে। যার যতটুকু দায় সেই অনুযায়ী তদন্ত করে দেখা হবে।’