মে ৩১, ২০২৩ ৬:১০ পূর্বাহ্ণ || ডেইলিলাইভনিউজ২৪.কম

মিন্নিসহ ৬ জনের ফাঁসির আদেশ

বরগুনার আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত (রিফাত শরীফ) হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ৬ জনের ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বাকি চার আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
 
আদালত প্রাঙ্গণে দোয়া-দরূদ পড়ছেন ‘রিফাত হত্যা’র আসামির স্বজনরা
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে বেলা সোয়া একটায় বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান আদালতে রায় পড়া শুরু করেন। এ মামলায় কারাগারে থাকা প্রাপ্তবয়স্ক আট আসামিকে বেলা ১২টা ৫০ মিনিটে আদালতের এজলাসে উঠানো হয়।
 
এর আগে বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে র‌্যাব ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় প্রিজনভ্যানে আসামিদের আদালতে নিয়ে আসা হয়।
 
রিফাত হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড (২৫) গোলাগুলিতে নিহত হওয়ায় তাকে চার্জশিটেই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। আসামিদের মধ্যে রিফাত ফরাজী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
 
একই ঘটনায় অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামি যশোরে কিশোর সংশোধনাগারে আছে। শিশু আদালতে তাদের বিচার চলছে।
 
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান চার্জশিটের ২৪ আসামির মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিলেন। এদের মধ্যে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামির বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকা ও অপর তিন আসামির বিরুদ্ধে হত্যা ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকা ও আসামিদের পালাতে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়।
 
রায় ঘোষণা উপলক্ষে কারাগারে আটক আট আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এছাড়াও বাবার সঙ্গে আদালতে হাজির হন এ মামলায় জামিনে মুক্ত থাকা আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। এক আসামি পলাতক আছেন।
 
গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুটি পৃথক চার্জশিট দেয় পুলিশ।
 
গত বছরের ২৬ জুন সকাল সোয়া ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে ওইদিনই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ পাঁচ-ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

Comments

comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!