পুরোনো রূপে ফিরতে শুরু করেছে কক্সবাজার


বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার করোনা সংক্রমণ স্বাভাবিক হওয়ার পর লকডাউন পরিস্থিতির শীতিলতায় পুরোনো রূপে ফিরতে শুরু করেছে। নানান সতর্কতা ও নির্দেশনা মানতে গিয়ে কোনভাবেই সৈকতে ভ্রমণে আসতে পারেনি পর্যটক। এমনকি স্থানীয়রাও এ বিনোদন থেকে বিরত থাকে স্বাস্থ্যবিভাগ ও প্রশাসনের নির্দেশনায়। বর্তমানে সেই সংকট কিছুটা হলেও কাটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে বিরাজ করায় এখন আগের চিরচেনা চিত্রগুলো দৃশ্যমাণ হচ্ছে।
দীর্ঘ ৫ মাস যাবত মহামারি করোনার লকডাউনে বন্ধ থাকার পর ৪দিন আগে পর্যটন দুয়ার খুলে দেয়ায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গত দুইদিন বন্ধ সময়ে ও বাদলা দিনে পর্যটকদের পদচারণা পরিলক্ষিত হয়েছে। হোটেল মোটেল ও রেস্টুরেন্টে পর্যটকদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। কলাতলী, সুগন্ধা পয়েন্ট ও লাবনী পয়েন্টে দূর-দূরান্তের পর্যটকদের দেখা মেলে। কিটকট বর্ণিল ছাতার নীচে বসে সূর্যাস্ত দেখা ও লাবনী মার্কেটে কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে পর্যটকরা। কক্সবাজারে ৪৭০টি হোটেল-মোটেলের ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারি ও দেড় শতাধিক ট্যুর অপারেটরসহ দেড় লক্ষাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ পর্যটন শিল্পের দ্বার উন্মোচন হওয়ায় আশান্বিত।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ জানিয়েছেন- পর্যটক এবং পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্টদের সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকলে যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সৈকতসহ সকল স্থানে বিচরণ করে তা কড়াকড়ি ভাবে লক্ষ্য রাখা হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসা বাণিজ্য কঠিন শর্ত সাপেক্ষে খুলে দেওয়া হয়েছে। গত ১৯ জুলাই আবাসিক হোটেল মোটেলের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ প্রধানমন্ত্রীর কাছে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পর্যটনের দুয়ার খুলে দেয়ার আবেদন জানান। তারই আলোকে আবাসিক হোটেল, রেষ্টুরেন্টসহ পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্ট যে সকল প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা থাকবে এবং স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলবে শুধুমাত্র সেসব প্রতিষ্ঠানকে খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রে প্রকাশ।