ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল-আমিরাতের ‘ঐতিহাসিক মিলন’


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ‘রাজি হয়েছে’ ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। ট্রাম্প বৃহস্পতিবার নিজেই এই ঘোষণা দিয়েছেন।
ট্রাম্প টুইটারে তিন দেশের পক্ষে লেখা একটি যৌথ বিবৃতির ছবি শেয়ার করে জানান, নতুন সমঝোতার অংশ হিসেবে ইসরায়েল ওয়েস্ট ব্যাংক বা পশ্চিম তীরে সব ধরনের পরিকল্পনা ‘স্থগিত’ করবে।
এরপর ওভাল অফিসে বসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তিনি দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। উভয় পক্ষ নিজেদের দেশে একে-অপরের দূতাবাস এবং রাষ্ট্রদূত নিয়োগের ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পের টুইট শেয়ার করে এই সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
যৌথ বিবৃতিতে আবু ধাবির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ মোহাম্মদ আল নাহিয়ান, ট্রাম্প এবং নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘অচলাবস্থা কাটার ঐতিহাসিক এই ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনবে।’
উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের এখন পর্যন্ত কোনো সম্পর্ক নেই।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ আল ওতাইবা বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের জন্য এটি একটি কূটনৈতিক বিজয়।’
১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের স্বাধীনতা ঘোষণার পর এই নিয়ে মাত্র তিনবার ইসরায়েল-আরব শান্তিচুক্তি করতে দেখা গেল। আগের দুটির একটি ১৯৭৯ সালে, মিশর চুক্তি; অন্যটি ১৯৯৪ নালে জর্ডান চুক্তি।
বিবিসি জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইসরায়েল এবং আমিরাতের নেতারা দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ এবং নিরাপত্তার বিষয়ে চুক্তি করতে সাক্ষাৎ করবেন।
দেশ দুটি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক কৌশলগত আলোচ্যসূচি নির্ধারণের কার্যক্রমেও অংশ নেবে।