যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের সবচেয়ে প্রবীণ বিচারক আর নেই


দ্বিতীয়বারের মতো ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে কয়েক মাস ধরে কেমোথেরাপি নিচ্ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক ও নারী অধিকারের আইকনিক ব্যক্তিত্ব রাথ ব্যাডের গিন্সবার্গ। এই মরণব্যাধিতেই মৃত্যু হলো তার।
শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে নিজ বাড়িতে গিন্সবার্গ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে তার পরিবারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তার পাশেই ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
এর আগে চলতি বছরের শুরুতে গিন্সবার্গ জানিয়েছিলেন, আবার ক্যানসার ধরা পড়েছে তার শরীরে। কেমোথেরাপি নিচ্ছিলেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতের সবচেয়ে প্রবীণ বিচারক ছিলেন গিন্সবার্গ। দেশটির সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী বিচারক ছিলেন তিনি। দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ২৭ বছর ধরে। এ ছাড়া নারী অধিকার নিয়েও সোচ্চার ছিলেন গিন্সবার্গ।
পেনক্রিয়াটিক ক্যানসারে ভুগছিলেন গিন্সবার্গ। প্রথমে ইমিউনোথেরাপি নিলেও কাজ হচ্ছিল না। তবে কেমোথেরাপির ‘ইতিবাচক ফল’ পাচ্ছেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
দীর্ঘ জীবনে ক্যানসারের সঙ্গে কয়েকবার লড়তে হয়েছে গিন্সবার্গকে। দুই দশকে কোলন ক্যানসার ও ফুসফুসের ক্যানসারসহ অন্তত তিনবার প্রাণঘাতী এই রোগে আক্রান্ত হন তিনি।
এদিকে, গিন্সবার্গের সম্মানে হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হোয়াইট হাউস। তার মৃত্যুকে শোক জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গিন্সবার্গকে ‘টাইটান অব ল’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমাদের জাতি ঐতিহাসিক এক বিচারককে হারাল। সুপ্রিম কোর্টে আমরা স্নেহ পরায়ণ এক সহকর্মীকে হারিয়েছি। আমরা শোকাহত।”
যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতের নয় সদস্যের বিচারক বেঞ্চের চার লিবারেল বিচারকের একজন ছিলেন গিন্সবার্গ। তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতির দিকে গভীর নজর রাখছিল ট্রাম্প প্রশাসন।
ধারণা করা হচ্ছে, বর্ষীয়ান এই বিচারকের জায়গায় এমন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হবে যাতে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত আরও রক্ষণশীল গতিধারায় পরিচালিত হয়।