পুনরায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করছে চীন


আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পুনরায় চালু করছে চীন। বৃহস্পতিবার রাজধানী বেইজিং থেকে ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে। চীনের সঙ্গে কম্বোডিয়া, গ্রিস, ডেনমার্ক, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং সুইডেনের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে।
বেইজিং ইনফরমেশন অফিসের পরিচালক জু হেজিয়ান বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, কয়েকটি ধাপে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পুনরায় চালু হবে।
তালিকাভূক্ত দেশগুলোর যাত্রীরা এবং বিভিন্ন দেশে থাকা চীনের বাসিন্দারা এসব ফ্লাইটে যাওয়া-আসা করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে তাদের অবশ্যই করোনার নেগেটিভ ফলাফল প্রদর্শন করতে হবে। নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া কোনো যাত্রীই দেশের বাইরে বা বাইরে থেকে চীনে প্রবেশ করতে পারবেন না।
জু হেজিয়ান জানিয়েছেন, ফ্লাইটের আগে প্রত্যেক যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হবে। এছাড়া বেইজিংয়ে পৌঁছানোর পর প্রত্যেক যাত্রীর নিউক্লেইক এসিড টেস্ট করা হবে। তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার আগে অবশ্যই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক থাকবে।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনেই প্রথম প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। তবে করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়া ব্রাজিল, ভারত, রাশিয়া, পেরু, দক্ষিণ আফ্রিকা, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, স্পেন, আর্জেন্টিনা এবং চিলিতেও সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে করোনার সংক্রমণ বাড়ছেই।
তবে চীনেই এই ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হলেও গত কয়েক মাসের প্রচেষ্টায় করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করতে সম্ভব হয়েছে তারা। ফলে চীনের জীবন-যাত্রাও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এর ধারাবাহিকতায় এবার আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও চালু হচ্ছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত চীনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ হাজার ৬৬। এর মধ্যে মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩৪ জন। তবে আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই এখন সুস্থ। ইতোমধ্যেই দেশটিতে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৮০ হাজার ২৩৪ জন। দেশটিতে বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ১৯৮টি এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে চারজন।