মে ৩১, ২০২৩ ১০:২০ পূর্বাহ্ণ || ডেইলিলাইভনিউজ২৪.কম

সংগীতশিল্পী মিলাকে খুঁজছে পুলিশ

এসিড ছোড়া মামলায় কণ্ঠশিল্পী মিলার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত। পরোয়ানা ইতিমধ্যে পল্লবী থানায় পৌঁছেছে। এর পরই সংগীতশিল্পীকে গ্রেফতার করতে একাধিক স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ।  এসিড ছোঁড়া মামলায় হাজিরা না দেয়ায় আদালত এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, এই সংগীতশিল্পীকে ধরতে পুলিশের দুটি ইউনিট কাজ করছে। তবে এ বিষয়ে মিলা বলছেন, তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৫ জুন সংগীতশিল্পী মিলার বিরুদ্ধে অ্যাসিড হামলার অভিযোগে মামলা করেন তার সাবেক স্বামী পারভেজ সানজারির বাবা এস এম নাসির উদ্দিন।

পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরার পশ্চিম থানায় দুই বছর আগে মিলার বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই চলমান মামলায় আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

পল্লবী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী গণমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবার থেকেই আমরা তাকে অ্যারেস্ট করার জন্য চেষ্টা করছি। তার বাসাসহ ঢাকার অনেকগুলো লোকেশনে তার খোঁজ করেছি। কোথাও তাকে খুঁজে পাইনি। আমাদের দুটি ইউনিট সার্বক্ষণিক তাকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে। যেখানেই থাকুক, আমরা যত তাড়াতাড়ি পারি তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করব।

এর আগে বিয়ের তথ্য গোপন করার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মিলার বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা করেন পারভেজ সানজারি। মামলাটি আমলে নিয়ে পল্লবী থানাকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত। পুলিশ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পুলিশের দেয়া প্রতিবেদন আমলে নিয়ে মিলা ও তার বাবাকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন।

এদিকে মামলার বিষয়ে সংগীতশিল্পী মিলা গণমাধ্যমকে বলেন, এই ঘটনায় কাজের ছেলেটা নিজের দোষ স্বীকার করেছে। সে বলেছে, এখানে মিলা জড়িত না, এমনকি অ্যাসিডও এই গায়িকা ছোড়েননি। এই মামলায় বারবার তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছে। এবার তাকে সম্পূর্ণভাবে ফাঁসিয়ে দেওয়া হলো।

এর আগে যৌতুক ও নির্যাতনের অভিযোগে ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর সংগীতশিল্পী মিলা তার সাবেক স্বামী পারভেজ সানজারির বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেফতার হন সানজারি। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান। গত বছরের ১১ জুলাই মিলা সানজারির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।

Comments

comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!