চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাদেক বাচ্চু


রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলা কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার শক্তিমান অভিনেতা সাদেক বাচ্চু। ১৪ সেপ্টেম্বর বাদ মাগরিব তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে তালতলা কবরস্থান সংলগ্ন মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সাদেক বাচ্চুর মরদেহ বিকেল ৩টায় বের করা হয়। করোনায় আক্রান্ত থাকার কারণে তার দাফনের ব্যবস্থা করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আল মারকাজুল। তারা বিকেল ৩টায় মরদেহ গোসলের জন্য নিয়ে যায়। সেখান থেকে তালতলায় নেয়ার পর মাগরিবের নামাজের পর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে তালতলা কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়৷
বরেণ্য অভিনেতা সাদেক বাচ্চু ১৪ সেপ্টেম্বর, সোমবার বেলা ১২টা ৫ মিনিটে রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। তার মৃত্যুতে শোবিজ অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমেছে।
সাদেক বাচ্চুর আসল নাম মাহবুব আহমেদ সাদেক। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে হলেও জন্ম ঢাকাতে। ‘চাঁদনী’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্র অঙ্গনে পা রাখেন জনপ্রিয় এই অভিনেতা। এর আগে ১৯৬৩ সালে খেলাঘরের মাধ্যমে রেডিওতে অভিনয় শুরু করেন তিনি। একইসঙ্গে মঞ্চেও কাজ শুরু করেন।
তার প্রথম থিয়েটার ‘গণনাট্য পরিষদ।’ ১৯৭৪ সালে প্রথম টেলিভিশন নাটকে অভিষিক্ত হন তিনি। প্রথম চলচ্চিত্র শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘রামের সুমতি’ অবলম্বনে একই নামের ছবি, নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন। শহীদুল আমিন ছিলেন পরিচালক। আরও একটি চলচ্চিত্রেও সুনেত্রার বিপরীতে নায়ক চরিত্রে ছিলেন কিন্তু ছবিটি মুক্তি পায়নি।
খল চরিত্রে প্রথম অভিনয় করেন ‘সুখের সন্ধানে’ চলচ্চিত্রে। শহীদুল হক খানের এই ছবিতে ইলিয়াস কাঞ্চন নায়ক ছিলেন। মৌসুমী চলচ্চিত্রে ‘চাচা ঢাকা কতদূর?’ সাদেক বাচ্চুর এই সংলাপটি ছড়িয়ে পড়ে মুখে মুখে।
এরপর বহু সিনেমায় তাকে দেখা গেছে দুর্দান্ত অভিনয়ে। ২০১৮ সালে ক্যারিয়ারের একমাত্র জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করেন সাদেক বাচ্চু। শুধু অভিনয়ই নয়, লেখালেখিতেও যুক্ত ছিলেন সাদেক বাচ্চু।