তিন দেশ থেকে এলো ২৫৮ টন পেঁয়াজ


সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিয়ানমার ও পাকিস্তান থেকে গত দুই দিনে চট্টগ্রাম বন্দরে নয় কনটেইনারে ২৫৮ টন পেঁয়াজের চালান এসে পৌঁছেছে। ভারতের রফতানি বন্ধের পদক্ষেপের পর সমুদ্রপথে বিকল্প দেশ থেকে আমদানি হওয়া এসব চালানই প্রথম এসেছে।
তবে এর বাইরেও টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে গত দুই সপ্তাহে দুটি চালানে আরো ৫৭ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র থেকে ছয় লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নেয়ার পর ঋণপত্র খুলে পেঁয়াজ আমদানির প্রক্রিয়ায় যুক্ত হন ব্যবসায়ীরা ।
বন্দরে আসা পেঁয়াজের ২৫৮ টনের চালানের মধ্যে ১৭০ টন খালাসের ছাড়পত্র নিয়েছেন দুজন আমদানিকারক। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের প্রথম চালানটি এনেছে কায়েল স্টোর। গত ৩১ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটি মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়ে রেখেছিল।
গ্রিন ট্রেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান পাকিস্তান থেকে ১১৬ টন পেঁয়াজ এনেছে । প্রতিষ্ঠানটি গত ৬ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছিল। এ দুটি চালানই খালাস করা হয়েছে। এছাড়া এমআর ট্রেডিং ও মেসার্স সজীব নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের পেঁয়াজও বন্দরে পৌঁছেছে।
এখন পর্যন্ত বন্দরে পৌঁছানো পেঁয়াজের আমদানি অনুমতি মূলত ভারত রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়ার আগেই নিয়ে রাখা হয়েছিল। ভারত রফতানি বন্ধের পর যেসব চালান আমদানির অনুমতি নেয়া হয়েছিল সেগুলো আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছার কথা রয়েছে ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর পর যত দ্রুত সম্ভব পেঁয়াজের চালান যাতে খালাস হয়ে যায় সে ব্যপারে পদক্ষেপ নেয়া আছে আমাদের। সমুদ্রপথে আসা প্রথম চালানটি খালাস হয়েছে মিয়ানমারের । মিয়ানমারে লকডাউনের কারণে স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানিতে জটিলতা তৈরি হয়েছে । ফলে মিয়ানমারের যে চালানটি এসেছে তা সিঙ্গাপুর হয়ে ঘুরিয়ে আনতে হয়েছে।