কুমিল্লা হয়ে প্রথম পণ্যবাহী জাহাজ গেল ভারতে


গোমতী নদী দিয়ে বাংলাদেশ থেকে সিমেন্ট নিয়ে প্রথমবারের মতো ভারত পৌঁছেছে পণ্যবাহী জাহাজ। কুমিল্লার বিবির বাজার স্থল বন্দরে শনিবার বেলা দেড়টার দিকে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক, কুমিল্লার ডিসি মো. আবুল ফজল মীর, বাংলাদেশের ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস ছিলেন।
ডিসি আবুল ফজল বলেন, নারায়ণগঞ্জের মুক্তারপুর থেকে ৫০ টন সিমেন্ট নিয়ে এসেছে কার্গো জাহাজটি। এটি গোমতী নদী দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে সরাসরি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সোনামুড়া যাচ্ছে।
নৌপথে আমদানি-রপ্তানি চালুর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক বন্ধুত্ব আরও একধাপ দৃঢ় হলো।
ডিসি বলেন, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান বিবির বাজার স্থলবন্দর থেকে পণ্যের চালানটি আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় কর্মকর্তাদের বুঝিয়ে দেন।
বাংলাদেশের ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের জন্য আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। সাধারণত দু’দেশে মধ্যে ট্রাকে পণ্য আমদানি রপ্তানি করা হয়। নৌ পথ চালু হলে তা হব সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব। করোনা মহামারিতেও দু’দেশেরে মধ্যে বাণিজ্যিক সংযোগ অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, কুমিল্লার দাউদকান্দি, তিতাস, মুরাদনগর, দেবীদ্বার, বুড়িচং ও আদর্শ সদর উপজেলার বুক চিরে বয়ে গেছে ৯২ কিলোমিটার গোমতী নদী। এর মধ্যে প্রায় ৮৯.৫ কিলোমিটার বাংলাদেশে এবং অপর অংশ ভারতে পড়েছে।
পরীক্ষামূলকভাবে এই সিমেন্ট বোঝাই জাহাজটি ত্রিপুরার সোনামুড়ার নৌ জেটিতে পৌঁছাতে অনেক বাঁধা অতিক্রম করতে হয়েছে বলে দেশ রূপান্তরকে জানান বিআইডাব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক।
তিনি জানান, প্রায় ১৫ টি ডুবচরে জাহাজটি আটকে যায়, যেখান থেকে সামনে এগোতে অনেক সময় লেগেছে, বেলা ১০ টায় জাহাজটি আটকে যায় বিবিরবাজার সীমান্তের কাছে। প্রায় চার ঘণ্টা চেষ্টার পর জাহাজটি ৩ টার দিকে সোনামুড়া জেটিতে পৌঁছে, এ ছাড়াও ২৩ লো হাইট সেতু ও দুটি রেল সেতু রয়েছে ।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) একটি সূত্র জানায়, গোমতী নদীতে বর্ষা মৌসুমে ২ থেকে ৩ মিটার প্রবাহের পানি থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে নদীতে কোথাও কোথাও এক মিটার পানি থাকে। তবে দুই দেশের মধ্যে নৌপথে পুরোদমে বাণিজ্যিকভাবে নৌ-চলাচল শুরু হলে নৌ যান চলাচলের উপযোগী করতে নদীর বিভিন্ন স্থানে ড্রেজিং করতে হবে।