রক্তাক্ত রাস্তা, ঝিনাইদহে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা


রাস্তার দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। বিপরীত দিক দিয়েই আসছিলো দ্রুতগতির একটি বাস। রাস্তার মাঝে ওই ব্যক্তিকে দেখে হার্ড ব্রেক করেন বাসচালক। আর এতেই ঘটে গেলো বড় এক দুর্ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হার্ড ব্রেক করলে বাসটি রাস্তার ওপর উল্টে যায়। আর অপরদিক দিয়েই আসছিলো একটি দ্রুতগতির ট্রাক। এ সময় ট্রাকটি বাসটির মাঝ বরাবর সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় বাস, নিহত হন ১১ জন। এছাড়াও আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ জন।
বুধবার বিকাল ৩টার দিকে যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের বারোবাজার এলাকায় ঘটে এমন দুর্ঘটনা।
নিহতদের মধ্যে একজন শিশু, ৬ জন নারী ও ২ জন পুরুষ রয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনায় হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় এক সংবাদকর্মী বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি বাসটি রাস্তার ওপর আড়াআড়িভাবে পড়ে আছে। বাসের ভেতর আটকাপড়া আহত যাত্রীরা বের হওয়ার জন্য চিৎকার করছিলেন। হতাহতদের রক্তে রাস্তা তখন লাল হয়ে যায়।
কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শেখ মামুনুর রশিদ জানান, বুধবার বিকাল ৩টার দিকে ঝিনাইদহগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে যশোরগামী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় যাত্রীবাহী বাসটি রাস্তার উপর উল্টে যায়। যাত্রীবাহী বাস থেকে এ পর্যন্ত ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আহত প্রায় ১৫ জনকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৪/৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।