কোম্পানীগঞ্জের ছাত্র রাজনীতির সোনালী প্রজন্ম


রাজনীতির উর্বর ভূমি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ। স্বাধীনতা পরবর্তী খুব কম সময়ই কোম্পানীগঞ্জ মন্ত্রী শূন্য ছিলো ক্ষমতায় সে দলই থাকুক। বিএনপির স্হায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ছিলেন একাধিকবার মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও উপ- রাস্ট্রপতি। বর্তমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওয়াদুল কাদেরর রয়েছে দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। ইসলামি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও জামাতের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবু নাসের মোঃ আবদুর জাহের জামাতের শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতা। উনারা সবাই কোম্পানীগঞ্জেরই সন্তান।
কোম্পানীগঞ্জের ছাত্র রাজনীতির গৌরব ও ঐতিহ্য বেশ সমৃদ্ধ। এই ছাত্র রাজনীতির কেন্দ্র বিন্দু হলো সরকারি মুজিব কলেজ। অতীতে নোয়াখালীর কোন উপজেলা দূরে থাক খোদ জেলা সদর থেকেও এখানকার ছাত্র রাজনীতি ছিলো অনেক বেশি সরব। স্বাধীনতার ৫ দশকের মধ্যে ১ দশকের কিছু বেশি সময় ( ১৯৮০~১৯৯২) ছিলো কোম্পানীগঞ্জের ছাত্র রাজনীতির স্বর্ণযুগ। ছাত্র রাজনীতির এই রকম সময় আসেনি আর ভবিষ্যতেও আর আসবে না এটা নিশ্চিত।
এই সময়ের ছাত্র নেতারাই কোম্পানীগঞ্জের ছাত্র রাজনীতির সোনালী প্রজন্ম। এই সময় তিনটি ছাত্র সংগঠন ছিলো সব চেয়ে শক্তিশালী। দুই ছাত্র লীগ ( মুজিববাদী ছাত্র লীগ ও জাসদ ছাত্র লীগ) এবং ছাত্র শিবির। সোনালী প্রজন্মের ছাত্র নেতাদের সংখ্যা অনেক বিশাল। তাই অল্প কিছু নাম দেয়া হলো প্রতিকী ভাবে। এই অল্প কিছু নামের ভিতর সব নেতারাই আছেন। ১৯৯১ সালে বি এন পি ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত ছাত্র দল ছিলো অনেক দূর্বল সংগঠন। আবদুল মালেক, তোয়াহ, নুরুল্লাহ ইত্যাদি ছিলো পরিচিত ছাত্র নেতা।
মাঝে কিছু সময়ের জন্য উত্থান ঘটে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ” ছাত্র কল্যানের”। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় অল্প দিনই তারা খুব শক্তিশালী হয়ে উঠে। নিজদের অন্তঃকলহে কোম্পানীগঞ্জের আলোড়ন সৃস্টিকারী শাহাবুদ্দিন মনা হত্যাকান্ড এই দলের কবর রচনা করে দেয়। দ্রুত উত্থান কারী এই দলের পতনও হয় খুব দ্রুত। আলাউদ্দিন ফুটন, সিরাজ, স্বপন,করিম প্রমুখ ছিলো এই সংগঠনের আলোচিত ছাত্র নেতা।
ছাত্র শিবিরের রাজনীতি ছিলো অন্য সব সংগঠনের থেকে আলাদা। একটা নিয়মের মধ্যে দিয়ে পরিচালিত হতো এই দল। দলীয় শৃঙ্খলায় তারাই ছিলো শীর্ষে। সে সময়ের নিয়মিত ছাত্র সংঘর্ষে ছাত্র শিবির ছিলো কমন প্রতিপক্ষ। কখনো মুজিববাদী ছাত্রলীগ কখনো জাসদ ছাত্রলীগকে তাদের মোকাবিলা করতে হয়েছে। নিজদের ভিতর বিরোধ থাকলেও অনেক সময় ছাত্র শিবিরের মোকাবিলায় দুই ছাত্রলীগ এক হয়ে যেতো। বুলবুল, মনির,বকুল,শাহজাহান, সাথী ইত্যাদি ছাত্র শিবিরের আলোচিত ছাত্র নেতা ছিলো।
স্বর্নযুগের মুজিববাদী ছাত্র লীগ ছিলো একটি ভারসাম্যপূর্ণ ছাত্র সংগঠন। বসুরহাট পৌরসভার বর্তমান মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ১৯৮১ সালে ছাত্র সংসদের ভি পি নির্বাচিত হন। সিরাজ ছিলেন জি এস।
এক সময়ের তারকা ছাত্র নেতা আবদুল কাদের মির্জা বর্তমানের কোম্পানীগঞ্জের স্হানীয় রাজনীতির মহা তারকা। তিনি কোম্পানীগঞ্জের রাজনৈতিক পেশাদারিত্বের অগ্র সৈনিক। তিনি ফুল টাইম রাজনীতিবিদ। রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এক মূহুর্তে ও তিনি রাজনীতির বাইরে ছিলেন না। আজকে তৃনমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সব দলের রাজনীতি রাজনীতিবিদের হাত থেকে ব্যাবসায়ীদের হাতে চলে যাওয়ার অন্যতম কারন ছাত্র রাজনীতির অধঃপতনে নতুন নেতা সৃষ্টি না হওয়া এবং রাজনৈতিক পেশাদারিত্বের অভাব।
জনাব আবদুল কাদের মির্জা নির্বাচিত ভি পি ছাড়া একবার যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। এর বাইরে আর কোন দলীয় পদ পদবীতে ছিলেন বলে আমার মনে পড়ে না। কিন্তু তিনিই কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের অভিভাবক। নিজকে দলের একজন কর্মী পরিচয় দিতে পছন্দ করা আবদুল কাদের মির্জা ছাত্র রাজনীতির সময় থেকেই খুব দ্রুত দলের নিউক্লিয়াসে পরিনত হন। পুরো দল দীর্ঘ সময় ধরে তাকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে। ইউনুস, আবদুল্লাহ, আবুল খায়ের, লিটন, সমির, সেলিম বাবুল, ভুট্টো ইত্যাদি ছিলেন এই সংগঠনের আলোচিত ছাত্র নেতা।
স্বর্ণযুগের অন্যতম ছাত্র সংগঠন ছিলো জাসদ ছাত্র লীগ। সোনালী প্রজন্মের বেশির ভাগ ছাত্র নেতা এই সংগঠনেরই ছিলো। এই সংগঠনের একজন জুনিয়র কর্মি হিসাবে খুব কাছ থেকেই এটাকে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। ছাত্র নেতারা প্রায় সবাই ছিলেন আমার নিকট আত্নীয়। এই সংগঠনের সাংগঠনিক কাজে কয়েকটি স্তর ছিলো এবং সব স্তরের নির্দিস্ট দায়িত্ব ছিলো। হোসেন, নবী, আবদুল হাই বাবুল,মোজাম্মেল, মিলন, আলাউদ্দিনসহ মোস্ট সিনিয়ররা ছিলেন উপদেষ্টা। আলাউদ্দিন খোকন, কাজল হাজারী, জাহাঙ্গীর আলম, রেজাউল হক,আবদুর রহিম বাহার, শাহাদাত হোসেন টিটু, শাহআলম ফিরোজ, মাইন উদ্দিন ( বড়) মাকসুদুর রহমান মানিক ইত্যাদি ছিলেন সংগঠনের নীতি নির্ধারনী থিংক ট্যাংক। আবদুল কাদের মির্জার পরে আলাউদ্দিন খোকনের সাংগঠনিক দক্ষতার সুনাম রয়েছে পুরো কোম্পানীগঞ্জে। জসিমউদদীন আজাদ,আবদুল হাই টুকু,বুলবুল, জসিম, ফখরুল ইসলাম, রাজু,জয়নাল আবেদিন পলাশ,মাসুম,রিপন,আলম,মাইন উদ্দিন ( পিচ্চি). আলমগীর, বেলাল, আরজু হাজারী,তারেক সহ সবচেয়ে বড় অংশটি নিয়ে ছিলো সাংগঠনিক স্তর। মিছিল,মিটিং এবং সংগঠনের প্রতিরক্ষা বা প্রতি আক্রমন ছিলো এই স্তরের মূল কাজ। প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠন এটাকে বলতো জাসদ ছাত্র লীগের সামরিক শাখা। উপজেলা এরিয়াকে বলতো ক্যান্টনমেন্ট। জসিম উদ্দিন আজাদ নামটি ছিলো প্রচন্ড সাহসী এক ছাত্র নেতার নাম। এই স্তরের সবাই ছিলো সাহসী, বেপরোয়া এবং কিছু ছিলো অতিরিক্ত মাথা গরম। এর পরের স্তরে ছিলাম আমরা জুনিয়রা যারা স্কুল কমিটিতে ছিলাম। স্কুল ছাত্র এবং উপজেলার সরকারি কর্মকতাদের ছেলেরা ছিলো এই স্তরে। সংঘর্ষ ও মিছিলে অংশগ্রহণ ছিলো আমাদের জন্য নিষিদ্ধ। কিছু মিটিং এ অংশ গ্রহণের সুযোগ ছিলো।
দলের জন্য আমাদের মূল কাজ ছিলো ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিতে জড়িত থেকে তাদেরকে দলে নিয়ে আসা এবং প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠনের উপর গোয়েন্দাগিরি। আমাদের সবচেয়ে ভারী দায়িত্ব ছিলো ছাত্র সংঘর্ষের সময় বনে জঙ্গলে লুকিয়ে রাখা অস্ত্র পাহারা দেওয়া। অস্ত্রের তালিকায় ছিলো বিভিন্ন সাইজের কিরিচ,গাবের লাঠি ও ককটেল। ঐ সময়ে সব দলের কিছু শীর্ষ ছাত্র নেতাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র থাকলেও এক শাহাবুদ্দিন মনা হত্যা ব্যাতিত আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যাবহার ফাঁকা গুলির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো। এই সময়টা আমাদের জন্য খুব আনন্দের ছিলো। মশার কামড় উপেক্ষা করে দুই টাকা পাঁচ টাকা দরের বাজীতে তাস খেলা, নারিকেলের ডাব বা খেজুরের রস চুরি করে পায়েস রান্না করা ইত্যাদিতে রাতটা খুব দ্রুত শেষ হয়ে যেতো।
১৯৮৭ সালে হওয়ার কথা ছিলো বহু প্রতিক্ষিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন। জাসদ ছাত্র লীগের ” কাজল-স্বপন” পরিষদের জি এস পার্থী স্বপনকে নিয়ে বিতর্ক হলেও এটা ছিলো একটা তারকা প্যানেল। ভি পি পদের যোগ্যতা সম্পন্ন নেতাদের ও দাঁড়াতে হয়েছে সাহিত্য সম্পাদক বা ক্রিড়া সম্পাদকের মত ছোট পদে। এই প্যানেল যখন নিশ্চিত বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো তখন বাকী সব ছাত্র সংগঠন এক হয়ে নির্বাচন পন্ড করে দেয়। নিশ্চিত বিজয় হাতছাড়া হলেও এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ ঘটনা সংগঠনের জন্য সাঁপে-বর হয়ে দাঁড়ায়। এই ঘটনা ওলট পালট করে দেয় কোম্পানীগঞ্জের ছাত্র রাজনীতির সব হিসাব নিকাশ। ১৯৮৭ সাল থেকে পরবর্তী ৪/৫ বছরের জন্য জাসদ ছাত্র লীগ হয়ে উঠে কোম্পানীগঞ্জের অপারাজেয়, অপ্রতিরোধ্য ও দাপুটে ছাত্র সংগঠনে। কোম্পানীগঞ্জের ছাত্র রাজনীতিতে এই রকম একক দাপট আর কেউ দেখতে পারেনি।
১৯৮৭ সালের ছাত্র সংসদ নির্বাচন পন্ড হয়ে গেলে উপজেলার বিভিন্ন স্হানে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। একদিকে জাসদ ছাত্র লীগ আরেকদিকে বাকী সব ছাত্র সংগঠন। বাকী সব ছাত্র সংগঠন তাদের দলের সেরা ফাইটারদের নিয়ে গঠন করে ” যৌথ বাহিনী”।
এই যৌথবাহিনী বসুরহাট বাজারে একসাথ হয়ে হঠাৎ একটা বড় সিদ্ধান্ত নেয়। জাসদের শীর্ষ নেতা ডাঃ আবদুল হালিমের বাসা গুড়িয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়ার শপথ গ্রহণ করে। মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে সশস্ত্র যৌথবাহিনি এগিয়ে যায় বাসার দিকে। এই রকম কিছুর জন্য জাসদ ছাত্র লীগ প্রস্তুত ছিলো না। ডাঃ আবদুল হালিমের বাসায় ছিলেন উনার দুই সন্তান আলাউদ্দিন খোকন, জসিম উদ্দিন আজাদ এবং নিয়মিত আড্ডা দেয়া আবদুল হাই টুকু, মাইন উদ্দিন, আলমগীর, সদ্য প্রয়াত ভাগিনা মনির সহ মাত্র ৭/৮ জন। সামান্য ছুরি লাঠি নিয়ে এই অল্প কয়েকজন ধাওয়া করে শত শত যৌথ বাহিনী কে। তাদের ধাওয়ায় মুহূর্তে হাওয়া হয়ে যায় বজ্রকঠিন শপথ নেয়া যৌথবাহিনি।
দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র এই ঘটনা। তারুণ্য সব সময় সাহসের পূজারী। স্রোতের মত দলে দলে ছাত্ররা যোগ দিতে থাকে এই দলে। তখন একজন জাসদ ছাত্র লীগ একাই একশ। এই ঘটনা হয়ে গেছে কোম্পানীগঞ্জের ছাত্র রাজনীতিতে সাহসের স্হায়ী উদাহরণ হিসেবে।
১৯৯১ সালে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মুজিববাদী ছাত্র লীগের ” বাবুল- ছোটন” পরিষদ পূর্ণ প্যানেলে জয় লাভ করে। দ্বৈত ভর্তির কারনে আরজু হাজারী ভি পি পদে পার্থী হতে না পারলে নেতা কর্মীদের মাঝে হতাশা নেমে আসে। প্যানেল হয় ” বেলাল -তারেক ” পরিযদ। কিন্তু কর্মীরা আর সক্রিয় না হওয়াতে কপাল পুড়ে হেভিওয়েট জি এস পার্থী তারেকের। মুলত এই নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি ঘটে সোনালী প্রজন্মের ছাত্র রাজনীতি।
ছাত্র নেতাদের কেউ কেউ রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও বড় একটা অংশ ইউরোপ,আমেরিকা সহ প্রবাসে পাড়ি জমান। কেউ চাকরি, ব্যাবসা সহ পারিবারিক জীবনে ব্যাস্ত হয়ে যান। আলাউদ্দিন ফুটন, শাহ আলম ফিরোজ, স্বপন (ফেনী) সহ কিছু নেতা অকালে দুনিয়া থেকে চলে যান। কেন এই সময়টা কোম্পানীগঞ্জোর ছাত্র রাজনীতির স্বর্ণযুগ আর কেন এই সময়ের ছাত্র নেতারা সোনালী প্রজন্ম? বর্তমান ছাত্র রাজনীতির সাথে স্বর্ণযুগের ছাত্র রাজনীতির কি মৌলিক পার্থক্য?
প্রথমতঃ স্বর্ণযুগের ছাত্র রাজনীতিতে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজী বলে কোন শব্দ ছিলো না। ছাত্র নেতারা বেশীরভাগই ছিলো সম্ভান্ত্র পরিবারের এবং তারা বাপের পকেট কেটেই রাজনীতি করেছে। একটা সিংগাড়া এক কাপ চা খেয়ে রাতদিন নেতাকর্মীদের দলের জন্য শ্রম দিতে কোন সমস্যা হয় নাই। ছিলো না মিটিং মিছিলে অশ্লীল কোন শ্লোগান। ছিলো না রাজনৈতিক কারনে ব্যাক্তিগত প্রতিহিংসা। দলের জন্য জীবনবাজি রেখে লড়াই করলেও তাতে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের ব্যাক্তিগত বন্ধুত্বে এর কোন প্রভাবই পড়েনি। আজকে তুমুল ঝগড়াঝাটি মারামারি করে কালকে এক সাথে চা খেতে আড্ডা দিতে বা একই টিমে খেলাধুলা করতে কোন সমস্যা হয়নি। এই বন্ধুত্ব ছাত্র রাজনীতির সাথে সাথে শেষ হয়ে যায়নি বরং দিন দিন তা বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কোপ খেয়েছে আর যে কোপ দিয়েছে তাদের বন্ধুত্ব এখন সবচেয়ে গভীর। ঐ সময়ে একজন ছাত্র নেতার সন্মান ছিলো সমাজের চোখে অনেক উঁচুতে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে একজন ছাত্র নেতা ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের থেকে সন্মানিত ও প্রভাবশালী ছিলেন। টাকার কাছে আর্দশ বিক্রির নজির ছিলো খুব কম। বর্তমান ছাত্র রাজনীতির সাথে স্বর্ণযুগের পার্থক্য অনেক সুস্পষ্ট। তাই কোম্পানীগঞ্জের ছাত্র রাজনীতির আলোচনায় ঘুরে ফিরে সোনালী প্রজন্মের ছাত্র নেতাদের নামই উঠে আসে। এরা চিরকাল থাকবে কোম্পানীগঞ্জবাসীর হৃদয়ে, আলোচনায় ও আড্ডায়।
-শাহাদাত হোসেন ( সোহাগ)