মসজিদে বিস্ফোরণ: নাশকতার আশঙ্কা শামীম ওসমানের


নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনাকে নাশকতার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় সাংসদ শামীম ওসমান। শনিবার নগরীর ১১নং ওয়ার্ডের তল্লা এলাকায় বাইতুছ সালাত জমে মসজিদের বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনে যান শামীম ওসমান।
শামীম ওসমান বলেন, এটা দুর্ঘটনা বা নাশকতা আমি কোনোটাই বলবো না। কিন্তু আমি নাশকতার বিষয়টিকেও ফেলে দিচ্ছি না। আমরা আশঙ্কা করছি এটা। এ জন্য আমরা অধিকতর তদন্ত চাই। নামকাওয়াস্ত নয়।
তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালের ১৬ জুন আমাদের ওপর বোমা হামলা হয়েছিল। হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজারে হামলার পরিকল্পনা হয়েছিল। আমি বলছি না এর সঙ্গে কোন যোগসূত্র আছে। তবে এর গভীর তদন্ত হতে হবে। কারণ এসির সিলিন্ডার থাকে বাইরে। বিস্ফোরণ ঘটলে বাইরে ঘটবে। আর গ্যাসের লাইন বাইরে। বিস্ফোরণ ঘটলে বাইরে ঘটবে। আর ভেতরে থাকলেও কতটুকু গ্যাস জমে থাকলে এতোবড় বিস্ফোরণ ঘটবে সেটা তদন্ত করে দেখা উচিত। দয়া করে এ ঘটনায় কোন পারসেপশন তৈরী করবেন না। প্রকৃত ঘটনা উদঘটিন জরুরি।
শামীম ওসমান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে বিষয়টি তদারকি করছেন। যোগাযোগ করছেন, চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন। যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, তারা শহীদি মর্যাদা পেয়ে গেছেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে এশার নামাজ শেষে মোনাজাতের মুহূর্তে হঠাৎ করেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। গ্যাস চেম্বার তৈরি হওয়া মসজিদের ভেতরের ৬টি এয়ার কন্ডিশন (এসি) একযোগে বিস্ফোরণ ঘটে। নামাজরত মুসল্লিদের ওপর ছড়িয়ে পড়ে আগুনের ফুলকী। দগ্ধ হয় ৪০ জনের বেশি মুসল্লি। গুরুতর অবস্থায় ৩৭ জনকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে। এ পর্যন্ত ১৮ জন মারা গেছেন।