জুন ১, ২০২৩ ৬:১৪ অপরাহ্ণ || ডেইলিলাইভনিউজ২৪.কম

রাবি উপাচার্যের বাসভবনে ছাত্রলীগের তালা

চাকরি প্রত্যাশী ছাত্রলীগ নেতারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। সোমবার (১১ জানুয়ারি) রাত সোয়া ৯ টার দিকে বাসভবনের গেটে ও ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলান তারা।

বিষয়টি স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও এগ্রোনমি এন্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফারুক হাসান বলেন,‘১৯৭৩ এর এ্যাক্ট অনুযায়ী চারটি বিশ্ববিদ্যালয় চলে, এর মাঝে রাবি একটি। কয়েকদিন আগে দেখেছি উপাচার্যের ওপর কিছু কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠাচ্ছে শিক্ষামন্ত্রণালয়। নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে একটা নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে। আমরা উপাচার্য স্যারের কাছে জানতে চেয়েছি তারা এটি পারে কিনা? তখন স্যার বলেছেন, ‘এটা ৭৩ এর এ্যাক্টের লঙ্ঘন। এটা তাদের পার্সোনাল ইন্টারেস্টের জায়গা থেকে আমাকে ব্লক করতেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কারণ জানতে চেয়েছি কিন্তু স্যার কারণ জানাতে পারেননি। তখন আমরা বলেছি আপনি তো ৭৩ এর এ্যাক্টের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে পারছেন না। স্যার যতক্ষণ না ব্যাখ্যা দিতে পারছেন, ততক্ষণ আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি চলবে।’

সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে রাবির রেজিস্ট্রার দফতরে জালাল নামের একজন প্রতিবন্ধীর চাকরি নিশ্চিত হলে সন্ধ্যার দিকে অন্য চাকরি প্রত্যাশীরা উপাচার্য ভবনের সামনে জড়ো হতে থাকেন। কিছুক্ষণ অবস্থানের পর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে চাকরি প্রত্যাশী ও রাবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সাদেকুল ইসলাম স্বপন এবং রাবি ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সভাপতি গোলাম কিবরিয়া এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াছ হোসেনের নেতৃত্বে ৬ জনের একটি প্রতিনিধিদল উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বাসভবনের ভেতরে যান। তবে উপাচার্য বিশ্রামে থাকায় তিনি ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে চাননি। এরপর বাহিরে এসে তারা উপাচার্যের ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন।

রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি আজ এডহক ভিত্তিতে একজনের চাকরি হয়েছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কেন চাকরি হচ্ছে না আমরা সেটি জানতে উপাচার্যের কাছে গিয়েছিলাম।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে প্রতিবন্ধী একটা ছেলেকে চাকরি দেয়ার জন্য। যেহেতু নিয়োগ বন্ধে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে, তাই আমি বিষয়টি সচিবকে জানিয়েছি। তিনি আমাকে নিয়োগ দিতে বলেছেন এবং নিয়োগ দিয়েছি। এর প্রেক্ষিতে সন্ধ্যার দিকে ছাত্রলীগ নেতারা এসে চাকরির দাবি করে। আমি জানিয়েছি, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়োগ বন্ধ রাখা হয়েছে। এখন আমি নিয়োগ দিতে পারব না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, ‘বাসভবনের মধ্যে অবরুদ্ধ আছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা, উপ-উপাচার্য চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া, প্রক্টর এবং কয়েকজন সহকারী প্রক্টর। মূলত করোনার আগে বেশ কয়েকটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছিল। করোনার কারণে সেগুলোর নিয়োগ কার্যক্রম শেষ করা যায়নি। অনেক চাকরি প্রত্যাশী আছেন। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা আছে তাই স্যার কিছু করতে পারবেন না। একটি স্বাভাবিক পরিস্থিতি যেন তৈরি হয়, সেজন্য আমরা আছি।’

Comments

comments

শেখ হাসিনাকে এরদোয়ানের ফোন

নাট্যকার মোহন খান আর নেই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!